গাইড বই দেওয়ার কথা বলে বরগুনা সদর উপজেলায় ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার অন্য দুই আসামি খলিল ও রাশিদা বেগকে খালাস দেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বরগুনা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

মামলার বরাত দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রী একটি দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ত। ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি ক্লাস চলাকালে ওই ছাত্রীকে গাইড বই দেওয়ার কথা বলে মাদ্রাসার পেছনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। এতে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রেখে পালিয়ে যায় সাইফুল। পরে সহপাঠী ও স্বজনরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ওই দিন বিকেলে সাইফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে দুজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা। একই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পলাতক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মঙ্গলবার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, “শিক্ষকরা জাতির বিবেক। সেই শিক্ষকের কাছে যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকে তাহলে কোথায় যাবেন। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি আলোচিত মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এই রায়টি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন মোল্লা বলেন, “আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমি আমার মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন