বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করাসহ তিন দফা দাবিতে প্রগতিশীল আটটি ছাত্র সংগঠনের শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর হাতাহাতি হয়েছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা দিকে আট ছাত্র সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। পরে মিছিলকারীরা সড়কে বসে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের বাসে হাফ ভাড়ার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শাহবাগ অবরোধ করতে যাওয়া বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের মধ্যে রয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এবং বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন।

ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায় বলেন, ‌“পুলিশ জনগণের বন্ধু নয়। রাস্তায় মিছিলে হামলা করে প্রমাণ করেছে, তারা নিরাপদ সড়ক চায় না। তারা এর আগেও আমাদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ দিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। সড়কে মানুষ মরে, সরকার কী করে? সড়কে হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস কার্যকর করতে হবে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।”

পুলিশের বাধার বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায় বলেন, “আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী টিএসসি থেকে শাহবাগ অবরোধের জন্য মোড়ের দিকে আসতে শুরু করি। কিন্তু শাহবাগ থানার সামনে এলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পুলিশ বলছে তারা আমাদের কোনোভাবেই শাহবাগ অবরোধ করতে দেবে না। প্রয়োজনে তারা বল প্রয়োগ করবে। তাই আমরা এখানেই বসে প্রতিবাদ করছি।”

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার বলেন, “শিক্ষার্থীদের মিছিল দেখে তারা ভয় পেয়েছে। আমাদের অনেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলন চলবে।”

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, “শাহবাগ এটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। দুই পাশে দুটি হাসপাতাল রয়েছে। এই মোড় অবরোধ করা হলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমরা তাদের শাহবাগ মোড় অবরোধ না করার অনুরোধ করি। এরপরও তারা সামনে এগোতে চাইলে আমরা তাদের বাধা দেই। পরে তারা জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে তাদের কর্মসূচি শেষ করে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন