আশুলিয়ায় একটি কওমি মাদ্রাসার ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একই মাদ্রাসার শিক্ষক ছলিম আহমদ (২৭)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরর পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক এলাকার মারকাজুল কুরআন ও সুন্নাহ মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
ধর্ষণচেষ্টায় জড়িত শিক্ষক ছলিম আহমদ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানাধীন মাইজগ্রাম এলাকার সমছ উদ্দিনের ছেলে। সে আশুলিয়ার ভাদাইলের পবনারটেক এলাকার মারকাজুল কুরআন ও সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা জানায়, তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক এবং তার স্ত্রী একটি তৈরী পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। তার ১২ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে বাসা সংলগ্ন কওমি মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। বেশকিছুদিন ধরে মাদ্রাসার শিক্ষক ছলিম আহমদ তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় জড়িয়ে ধরে এবং শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়। গত ১০ জানুয়ারি সকালেও ওই শিক্ষক তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
কিন্তু মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এরপর থেকেই তার মেয়ে ভয়ে আর মাদ্রাসায় যাচ্ছেনা। বাসা থেকে মাদ্রাসায় যেতে বললেই মেয়েটি শুধু কান্নাকাটি করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রী পরিবারের কাছে এসব ঘটনা খুলে বলে। এঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে গ্রেফতারকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।