সাভারের আশুলিয়ায় মাদ্রাসার এক শিশু (৮) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুল আজিজ। তবে মাদ্রাসাটির ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষককে পালাতে সহায়তার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

 

২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীরচট আয়নাল মার্কেট এলাকার দারুল কোরআন নুরানি হাফিজিয়া মডেল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর গার্মেন্টস শ্রমিক মা জানান, আয়নাল মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তার স্বামী পেশায় একজন রিকশাচালক। প্রতিদিনের মত সকাল ৭টায় তাদের ছোট্ট মেয়েকে ওই মাদ্রাসায় রেখে কাজে চলে যান তারা। পরে সন্ধ্যায় মেয়েকে বাসায় নিয়ে গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সে ।

রিকশাচালক বাবা জানান, সন্ধ্যার পর সবার ছুটি হয়ে গেলে তার মেয়েকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষক আবদুল আজিজ। পরে তার মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে সাবান লাগিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। পরে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের মেয়েকে বাসায় পাঠিয়ে দেন শিক্ষক আজিজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের কথা জানাজানির পর বাড়িওয়ালা আবদুর রাজ্জাক ও স্থানীয় মাদবররা অভিযুক্ত শিক্ষককে বাড়ির একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। কিন্তু সকালে বাড়ির মালিক তাকে কৌশলে ছেড়ে দেন। এ ছাড়া অনুমোদনহীন এই মাদ্রাসায় কেবল একজন শিক্ষক দিয়ে প্রায় ২০-২৫ শিক্ষার্থীকে কোনোমতে শিক্ষা দেওয়া হতো বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এমনকি পলাতক অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন