চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মসজিদে ঢুকে ইমামের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন তিন তরুণী বোন। এ সময় তাঁদের আটক করেন মুসল্লিরা। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত বুধবার ফজরের নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
তরুণীদের বাবার অভিযোগ, ওই ইমাম তাঁর এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। তাঁর মেয়েরা এর প্রতিবাদ করতে যান। এ সময় তাঁর এক মেয়েকেও মারধর করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের পর মোনাজাত চলছিল। এ সময় বোরকা পরা তিনজন মসজিদে ঢুকে ইমামের চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেন। পরে লোহার তার দিয়ে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পাশের মুসল্লিরা তাঁদের ধরে ফেলেন। পরে মসজিদ কমিটির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে তরুণীদের ছেড়ে দেন। ওই ইমামকে পাশের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তরুণীদের বাবা বলেন, ওই মসজিদের ইমাম অনেক দিন ধরে এলাকার কিছু বখাটে ছেলেদের নিয়ে তাঁর এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছেন। এ নিয়ে তিনি মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে নালিশও করেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। তাঁর মেয়েরা উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে যান। সে সময় তাঁর মেয়েদের ইমাম মারধর করেন। বর্তমানে তাঁর এক মেয়ে হাসপাতালে।
জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সভাপতি বলেন, ওই ইমাম এক মেয়েকে বহুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছেন বলে তাঁর বাবা অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে তিনি ইমামকে মসজিদ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। ইমাম চলেও যান। কিছুদিন পর মসজিদের কিছু লোক তাঁকে আবার নিয়ে আসেন।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও ওই ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রকিব বলেন, বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, উভয় পক্ষকে ডেকে ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।