‘মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখানোর লোভ দেখিয়ে’ মুন্সীগঞ্জের এক পুনরবাসন কেন্দ্রে তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লৌহজং উপজেলার পদ্মাসেতুর কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। তবে এ ঘটনায় ২৬ জুন শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, “কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি।”
“আমি ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি কিন্তু অভিযুক্তকে (৪০) পাইনি।”
ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, এ নিয়ে গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রিনা বেগম, পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলতাফ শেখ, সাধারণ সম্পাদক দাদন তালুকদারসহ কয়েকজন ওই সালিশ করেন।
এ প্রসঙ্গ টেনে শনিবার কয়েকজন স্থানীয় গৃহবধূ জানান, ‘সালিশকারীদের কারণে’ ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা করতে চাইছে না।
ওই পরিবারগুলোও পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবে বলে জানায়।
তবে ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রের সভাপতি আলতাফ শেখ বলেন, “আমি এ ঘটনা থানা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।”
আর ইউপি নারী সদস্য রিনা বেগম বলেন, “আমরা কোনো বিচার করিনি। আমিও ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।”
গত শুক্রবার দুপুরে ৬ বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে মোবাইলে ভিডিও দেখানোর কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। শিশুটি বাড়ি গিয়ে মাকে ঘটনা বলে। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকার সাত বছর এবং সাড়ে ৪ বছর বয়সী আরও দুই শিশুও ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
পদ্মাসেতুর কারণে জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া গ্রামবাসীদের সরকার এ এলাকায় জমি বরাদ্দ দেয়। সেখানে গড়ে ওঠে এই পুনরবাসন কেন্দ্রটি।
এ এলাকার বাসিন্দা নাসির খান জানান, তাদের এলাকায় অপরাধ বেড়ে গেছে। কিশোর গ্যাং এর তৎপরতাও রয়েছে। গত দুবছরে দুটি শিশু খুন এবং কয়েকটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।