কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সবকিছু যখন অবরুদ্ধ, ঠিক তখন এক শ্রমিককে (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তারই চার সহকর্মী।
১৭ এপ্রিল শুক্রবার রাতে উপজেলার জিনারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ অভিযুক্ত তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ওই নারী একটি বেকারিতে কাজ করতেন। করোনা দুর্যোগে বেকারিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বেকার হয়ে যান। তিনি এই বন্ধের মধ্যেই একটি কাজ খুঁজছিলেন। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে তারই সহকর্মী জাহাঙ্গীর ফোন করে বেকারি চালু হওয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। ফোন পেয়ে তিনি জিনারি যান। পরে জাহাঙ্গীর ও আরও তিন জন তাকে ধর্ষণ করে এবং তাকে আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। আজ শনিবার আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো জিনারি এলাকার তারা মিয়া (২৪), পিপলাকান্দি এলাকার জামান (১৯) ও টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (২৮)। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে এসআই আজহারুল জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ওই নারীকে প্রথমে হোসেনপুরের পুমদি ইউনিয়নের রামপুর বাজারসংলগ্ন সেভেন স্টার বেকারিতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্ষকরা। পরে তারা তাকে কৌশলে জিনারি গ্রামে নিয়ে মুনসুর মেম্বারের বাড়ির কাছে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।