নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। এ ঘটনায় চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।

 

৫ অক্টোবর সোমবার দুপুরে ওই কিশোরীসহ ৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটকরা হলেন- বসুরহাট-চট্টগ্রাম রুটের বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯), মুছাপুর ওয়ার্ডের রইসল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৯), রামপুর ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস (২৩) ও একই ইউনিয়নের মক্কানগর এলাকার মৃত মমিনুল হকের ছেলে নসিমন চালক মহি উদ্দিন (৩৫)।

নির্যাতিত কিশোরী অভিযোগ করেন, চট্টগ্রামের থাকা অবস্থায় ইমন তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রোববার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট এক্সপ্রেস বাসযোগে কোম্পানীগঞ্জে নিয়ে আসেন তাকে। সেখান থেকে ইমনের সহযোগী জামাল উদ্দিন পিয়াস সিএনজি নিয়ে এসে তাকে ও ইমনকে মুছাপুরে সাইফুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে সাইফুলের বাড়িতে ইমন তাকে ধর্ষণ করে।

সাইফুলের বাড়িতে কান্নার শব্দ পেয়ে সেখানে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার ও ৪ জনকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ওই কিশোরী ভাসমান পতিতা হওয়ায় তাকে ও ৪ যুবককে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, রাতে এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করায় লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি।

সমকাল

মন্তব্য করুন