এক কিশোরী কীর্তনশিল্পীকে (১৫) বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল পরিমল মল্লিক (২২) নামে এক বখাটে। এতে রাজি না হওয়ায় ‘প্রতিশোধ’ নিতে সহযোগী আরেক বখাটেকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার পীরারবাড়ী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
একই গ্রামের মৃত পরিক্ষিত মল্লিকের ছেলে পরিমল মল্লিক (২২) ও গুরুদাস মল্লিকের ছেলে কালু মল্লিক (১৯) এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী ও তার পরিবার।
 
কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ে একটি কীর্তন দলের শিল্পী। দুই দিন আগে তিন দিনের ছুটিতে বাড়ি আসে সে। বাড়িতে এলে সন্ধ্যার পরে সে বাজারে বাবার দোকানে বসে ব্যবসায় সাহায্য করে। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরিমল ও কালু তার মেয়েকে মুখ বেঁধে টেনেহিঁচড়ে পুকুরপাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে
কৌশলে বড় বোনকে ফোন দিয়ে ঘটনার কথা জানাতেই ওরা ফোন কেড়ে নেয় ও মারপিট করে। এতে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেলে ফেলে রেখে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে পবিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
 
কীর্তনশিল্পী ওই কিশোরী বলে, বেশ কিছুদিন ধরে পরিমল মল্লিক তার পরিচয় গোপন করে ফোনে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি সাড়া দেইনি। পরিমলের পরিচয় পাওয়ার পর আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিমল ও তার সহযোগী কালু আমাকে ধর্ষণ করেছে।
 
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানান, আলামত সংগ্রহ করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা শেষেই বলা যাবে সে ধর্ষিত হয়েছে কিনা।
 
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, বিষয়টি এখনো আমি জানি না। কেউ অভিযোগ নিয়ে এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রঃ আমাদেরসময়

মন্তব্য করুন