কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে জজ মিয়া (৪৫) নামে এক একজনকে আটক করেছে পুলিশ। জজ মিয়া উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কাউয়াদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।
নির্যাতিত কিশোরীর বড় ভাই ১৫ মার্চ রবিবার থানায় অভিযোগ করলে রাতেই পুলিশ জজ মিয়াকে আটক করে এবং কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৩) দাদির সঙ্গে বাড়িতে থাকত। বাবা-মা হারা মেয়েটির বড় দুই ভাই কাজের সুবাদে থাকত ঢাকায় । গত ৬ মার্চ বড় ভাই সাইফুল বাড়িতে এসে বোনকে কান্নাকাটি করতে দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে যে, পাঁচ মাস আগে চাচা জজ মিয়া ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর থেকে নিয়মিত ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে ৭ মার্চ জজ মিয়া ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম কৌশলে গৌরীপুরের এক ক্লিনিকে কিশোরীর গর্ভপাত করায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে চাদপুর জেলার মতলব উপজেলার নারায়ণপুর টাওয়ার মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কিশোরীর বড় ভাই বলেন, ছোট থাকতেই আমাদের বাবা মা মারা যায়। আমরা দুই ভাই ঢাকায় কাজ করতে গেলে বোনকে দাদির কাছে রেখে যাই। অভাব এবং সরলতার সুযোগে আমার বোনের সর্বনাশ করেছে লম্পট চাচা।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
১৬ মার্চ সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।