পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে গামছা দিয়ে মুখ পেচিয়ে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইমাম মসজিদের ইমাম মাহফুজুর রহমানকে (২১) শনিবার ( ১৩ এপ্রিল) গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের মো. সাইদুল ইসলামের ছেলে এবং ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, অভিযুক্ত ইমাম ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে ১২ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামের ঘরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জোরপূর্বক গামছা দিয়ে মুখ পেচিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন মাহফুজ । বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ে আমাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসার পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম উক্ত্যাক্ত ও কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্ব পাশে থাকার রুমে কাছে নিয়ে গিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার চালায়”।

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, “মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। তার শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে”।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, “অভিযুক্ত ইমাম আমাদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে”।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে”।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে আসামি করে দেবিদ্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন