কুমিল্লার দেবিদ্বারে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ভাতিজীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে চাচা মো. শামসুল হককে (৩৫) গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত মো. শামসুল হক উপজেলার গোপালনগর গ্রামের ছোবহান মিয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় মামলা করার পর চাচা শামসুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় একই বাড়ির আব্দু মিয়ার গোসলখানায় তার মেয়েকে নিয়ে ধর্ষণ করে শামসুল হক। পরে মেয়েটি পেটে ব্যথার কথা তাকে জানায়। তিনি (মা) কারণ জানতে চাইলে মেয়েটি চাচা শামসুল হককে দেখিয়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামসুল হক পেশায় রাজমিস্ত্রি। বরিশাল, ফরিদপুর, রংপুরসহ যেখানে যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ অন্যত্র চলে যান। এ পর্যন্ত আটটি বিয়ে করেছেন তিনি। বর্তমানে তার দুই স্ত্রী আছে।
রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসান জানান, শামসুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ। প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার অভিভাবকরা বিচারের জন্য এসেছিল। আমি থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার কথা বলি।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, “কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”