কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় চানাচুর চুরির অভিযোগে মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকরা মিলে ৬০ শিশু শিক্ষার্থীকে মাথা নিচে, পা ওপরে করে আধাঘণ্টা শাস্তি দেন। এতে ২৫ শিক্ষার্থী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও শুরু হয় বমি, কারও নাক-মুখ দিয়ে বের হতে শুরু করে রক্ত। এ সময় নির্যাতনের শিকার শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে।

 

সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার শংকুচাইল আশ্রাফুল উলুম হাফেজিয়া নুরানীয়া ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আটক করা হয় মাদ্রাসাটির সভাপতিসহ অভিযুক্ত চার শিক্ষককে।

এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার সেই মামলায় তাদেরকে কোর্টের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলো- মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বাদশা মিয়া, শিক্ষক মো. মোতালেব, মো. মিজানুর রহমান ও হাফেজ মো. সফিকুল ইসলাম।

কুমিল্লা-মাদ্রাসা-নির্যাতন

মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে ঘটনার দিন বিকেলে মায়ের সঙ্গে মাদ্রাসায় ফেরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. আল-আমিন (১০)। এ সময় তার মা তাকে একটি চানাচুরের প্যাকেট কিনে দেন। কিছুক্ষণ পরে সেই চানাচুরের প্যাকেটটি খোয়া যায়। ওই শিশু মাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকদের জানান।

যার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকরা চানাচুর চুরির অভিযোগ এনে ওই শিশুদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, এ ঘটনায় মো. ফিরোজ মিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন