কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় সন্তানদের সামনে মাকে মারপিটের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

তবে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নির্যাতিত ওই নারী ফয়সালকে একমাত্র আসামি করে হোমনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ফয়সাল উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের অযোদ্ধানগর গ্রামের মো. গিয়স উদ্দিন ওরফে গেসু মিয়ার ছেলে।

নির্যাতিতা নারী যুগান্তরকে জানান, প্রতিবেশী ফয়সাল দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার স্বামী বাড়িতে না থাকলে প্রায়ই সে উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আমার স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে রাত ১টার দিকে ফয়সাল দরজার খিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। প্রথমে সে আমাকে কিলঘুষি মেরে মুখচেপে ধরে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সন্তানদের সামনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে আমার সন্তানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ফয়সালকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং তার বিচার করার জন্য রাস্তার পাশে দোকানের সামনে নিয়ে গেলে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।

দুদিন পর আমার স্বামী বাড়ি এসে ঘটনা শুনে ধর্ষকের বিচার না চেয়ে আমাকে আমার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং মামলা করতে মানা করে।

পরে শুক্রবার আমার মাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ পেয়ে ওসি গ্রামে গিয়ে সমস্ত তথ্যসঠিক পেয়েছে।
হোমনা থানা ওসি মো. আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ভিকটিমের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন। মামলা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন