কুমিল্লায় র্যাবের অভিযানে আলোচিত ধর্ষক সোহাগ অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৪ জুলাই রোববার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। তিনি জানান, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে একই গ্রামের ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত সোহাগ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা উল্টো তরুণীর পরিবারকে হুমকি দেয়। ধর্ষণের ফলে সেই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয় ও পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টাও করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এর পর গত ১১ জুলাই ধর্ষিতা এক পুত্রসন্তান প্রসব করে। তার পরও বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় শনিবার তরুণীর পরিবার র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের সদস্যরা শনিবার রাতে দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক সোহাগকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মেজর সাকিব আরও জানান, আটকের পর ওই যুবক প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। রোববার ধর্ষক সোহাগের নামে মামলা করে তাকে দেবিদ্বার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, রোববার ওই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।