কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে সাত বছরের কন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তার সৎবাবাকে গ্রেপ্তার করেচে কচাকাটা থানা পুলিশ। ২৭ মে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় পুলিশ। এ ব্যাপারে শিশুটির মা বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে পূর্বের সংসারের মেয়েকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ওই নারী। মেয়ে ছোট হওয়ায় তাকে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমাতেন। বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুটির মা রান্না করতে উঠলে সৎবাবা মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটি তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দ্বিতীয় স্বামী চানমিয়াকে আসামি করে কচাকাটায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা। রাতেই অভিযুক্ত চানমিয়াকে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় পুলিশ।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. এ এস এম সায়েম জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য কুড়িগ্রামে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আজ সকালে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটিকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।