ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গৃহবধূ সবিতা ত্রিপুরাকে (২০) হত্যা করেন মোহন ত্রিপুরা।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।
তিনি বলেন, আসামি মোহন ত্রিপুরা দীর্ঘদিন ধরে নিহত গৃহবধূ সবিতা ত্রিপুরাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিচ্ছিল। সবিতা এতে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির অদূরে একা পেয়ে মোহন তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পানিতে চুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মোহন। এরপর মরদেহ পাশের পাহাড়ের খাদে ফেলে পালিয়ে যায় সে।
এদিকে, গৃহবধূ সবিতার মরদেহ উদ্ধারের পর প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (৪ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের মরাটিলা এলাকা থেকে মোহনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মোহন।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরের দিকে মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের বেহাদন্ত কারবারি পাড়া এলাকার একটি লেক থেকে সবিতা ত্রিপুরার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন নিহতের বাবা ধনরঞ্জন ত্রিপুরা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।