খুলনায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয় শীল (৫২) নামে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সঞ্জয় শীল পলাতক রয়েছে।

 

পুলিশ জানায়, বটিয়াঘাটা উপজেলার শুকদাড়া গ্রামের মাদরাসাছাত্রীর মা বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। তার বাবা মারা গেছেন। পার্শ্ববর্তী গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত বিনোদ শীলের ছেলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সঞ্জয় শীলের কাছে মাঝেমধ্যে ওই ছাত্রী ও তার মা চিকিৎসা নিতে যেতেন। চিকিৎসকও মাঝেমধ্যে চিকিৎসা দিতে ওই ছাত্রীদের বাড়িতে আসতেন। ৩১ অক্টোবর শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে চিকিৎসক সঞ্জয় শীল ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে তার মার খোঁজ করেন। তখন ওই ছাত্রীর কাছ থেকে চিকিৎসক জানতে পারেন তার মা বাড়িতে নেই। একপর্যায়ে উক্ত চিকিৎসক ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীর শারীরিক খোঁজখবর নিয়ে তাকে ওষুধ খাইয়ে দেন। এ সময় ছাত্রীটি অচেতন হয়ে পড়লে চিকিৎসক তাকে ধর্ষণ করেন। কিছু সময় পর ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির জ্ঞান ফিরে আসলে তার চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে চিকিৎসক সঞ্জয় শীল দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা ১ নভেম্বর রবিবার সঞ্জয় শীলকে আসামি করে স্থানীয় থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে সোমবার (২ নভেম্বর) চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, অভিযুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সঞ্জয় শীল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন