খুলনা মহানগরীর উত্তর হরিণটানা এলাকায় ১৪ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরীর বাবাকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে আটক করা হয় তাকে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী কন্যাকে (১৪) খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত কিশোরী পিতা-মাতাসহ মহানগরীর রিয়া বাজার এলাকায় বসবাস করতো। বছর দুয়েক আগে মেয়েটির মা অন্য একটি বিয়ে করেন। মা চলে যাওয়ার পর পিতা শহিদুলও দুই ছেলে-দুই মেয়ে ফেলে অন্যত্র চলে যান। পরে ছেলে-মেয়েদেরকে তার নানা বাড়িতে নিয়ে যায় নানি।
গত ২/৩ মাস পূর্বে মেয়ের পিতা-মাতা আবার একত্রে বসবাস শুরু করেন। ওদের নানার বাড়ির পাশের গলিতে বাসা ভাড়া নিয়ে সবাই মিলে বসবাস করে। সেখান থেকে মেয়েটির মা আবারও চলে যায়। তারপর তিন ভাই-বোন ও বাবার সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। এমন পরিস্থিতিতে কিছুদিন ধরে ওই কিশোরী কন্যাকে নির্যাতন শুরু করে ওই ব্যক্তি। সোমবার ভুক্তভোগী ওই কিশোরী তার নানিকে বিষয়টি জানায়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
এঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারীআইনজীবী মোমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। একই সাথে পুলিশের পাশাপাশি আমরা প্যারালাল তদন্ত করবো। ভিকটিমের পাশে দাঁড়াবো। মানসিক সাহসের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাউন্সিলিংসহ যাবতীয় সহযোগিতা করবো।”
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কানাইলাল সরকার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারির পরীক্ষা ও ঘটনাটির তদন্ত চলছে।