গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষনের ফলে অন্ত:সত্তার ঘটনায় নুরনবী (৪০)নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সে কামদিয়া ইউনিয়নের এনায়েতপুর (বস্তাহার) গ্রামের মোকাব্বর আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার অন্ত:সত্তা ওই কিশোরীকেও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের এনায়েতপুর (বস্তাহার) গ্রামের নুরনবীর ছেলে আবু হোরাইরা (২৩) প্রতিবেশি মৃত সিদ্দিক মন্ডলের স্ত্রী জরিনা বেগমের বাড়িতে যাওয়া-আসার সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে তার নাবালিকা কিশোরী কন্যাকে (১৩) ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে ৬ মাসের গর্ভবতি।
এ ঘটনা গ্রামের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে এবং কুৎসা রটনায় বাঁধা দিলে ও বিচার চাওয়ায় শাবানা ও নুরন্নবী মিলে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে লাঠি দ্বারা আঘাত করে নির্যাতিতার মা জরিনা বেগমকে হাড়াভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। জরিনা বেগমের চিৎকারে তার মেয়ে এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে জরিনা বেগম ১৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান,এঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন সমাজপতি বিচারের নামে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন।এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতার মা জরিনা বেগম ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত)তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ধর্ষক আবু হোরাইরাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।