গোপালগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাঁচ বখাটে মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ৫ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই স্কুল ছাত্রীর মা। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুকসুদপুর থানায় মামলাটি করা হয়।
১৮ মে মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ূন কবিরের আদালত ওই ছাত্রীর বক্তব্য নথিভুক্ত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার এসআই নব কুমার ঘোষ মামলার বরাত দিয়ে বলেন, ওই শিক্ষার্থী গত শনিবার স্বজনদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কদমবাড়ি গ্রামে পূজার অনুষ্ঠানে যায়। গভীর রাতে তারা ওই অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় স্বজনদের থেকে পেছনে পড়ে যায় সে। এই সুযোগে মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর গ্রামের কৃষ্ণ কীর্ত্তনীয়ার ছেলে কল্লোল কীর্ত্তনীয়ার নেতৃত্বে ৫ বখাটে তাকে বানিয়ারচর কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুলের পাশের চরে নিয়ে গিয়ে দলবেধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে হয়ে সোমবার মুকসুদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিন বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ূন কবিরের আদালত ওই ছাত্রীর বক্তব্য নথিভুক্ত করেন। সেখানে সে ৫ বখাটের নাম বলেছে ওই স্কুলছাত্রী। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।