ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজধানীর বেইলি রোডে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকার সময় ছাত্র ইউনিয়ন দুই নেতাকে থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

 

২৯ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনের গ্রাফিতি আঁকার সময় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি জওহরলাল রায় এবং শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাদাত মাহমুদকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

বামপন্থী ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি অনিক রায় বলেন, ‘আমাদের দুই কর্মী ধর্ষণের প্রতিবাদে গ্রাফিতি আঁকছিলেন। টহল পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে তাদের আঁকা বন্ধ করতে বলে।’

তিনি বলেন, ‘কর্মীরা আঁকা বন্ধ না করায়, তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় ও এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।’

নেতাকর্মীরা পুলিশের এমন আচরণের প্রতিবাদ করে এবং পুরো ঘটনাটি সাদাত ক্যামেরার সামনে বলা শুরু করলে পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন অনিক রায়। পরে সাদাতসহ তাকে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা দুজনকে হেফাজতে নিয়ে লাথি, ঘুষি মারে। সংগঠনের কর্মীরা থানা ঘেরাও করলে, পুলিশ তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।’

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (রমনা জোন) সহকারী কমিশনার শেখ মুহম্মদ শামীম বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা ওই দুই কর্মীকে বিদ্যালয়ের দেয়ালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আঁকছিল কিনা তা জিজ্ঞাসা করেছিল। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর পরে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

তবে, ওই দুজনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন বা ঘটনাস্থলে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন