চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের এক কিশোরীকে (১৭) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর কথিত প্রেমিক মো. সালাহউদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন (৩০) চাঁদপুর শহরের উত্তর জিটি রোডের সিদ্দিক আলীর ছেলে। তিনি ফতুল্লার আমতলার প্রেম রোড এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে ঝুটের ব্যবসা করতেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসলাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী ফতুল্লার একটি হোসিয়ারীতে কাজ করতো। সেখানে সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তিন বছর ধরে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই মধ্যে দুজনের বিয়ের কথাও হয়। গত ১১ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি বাসস্ট্যান্ডে তাকে আসতে বলেন সালাহউদ্দিন। সেখান থেকে ওই কিশোরীকে কৌশলে ঢাকার সদরঘাট এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কিশোরী লঞ্চে উঠতে আপত্তি জানালে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন সালাহউদ্দিন। এরপর চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি।

একই দিন চাঁদপুর থেকে ফিরে আসার পথেও সালাউদ্দিন ওই কিশোরীকে আবারও ধর্ষণ করেন। পরে নারায়ণগঞ্জে ফিরে তাকে ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় রেখে সালাউদ্দিন বাসায় চলে যান।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, নির্যাতিত কিশোরী মঙ্গলবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সালাউদ্দিন কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন