চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (৫) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কওমি মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ আবুল হোসেন নামে ওই মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করতে পারেনি। বর্তমানে শিশুটি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে মাদ্রাসা ছুটির পর প্রথম শ্রেণির ৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে স্কুলভ্যানের জন্য একা দাঁড়িয়েছিল। তাকে মাদ্রাসার কক্ষে ডেকে নিয়ে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে ওই শিক্ষক। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে গেলে তার চেহারা দেখে সন্দেহ এবং একপর্যায়ে তাকে গোসল করানোর সময় তার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখেন তার মা।
বিষয়টি তার বাড়ির অন্যান্য লোকজনকে জানানোর পর তারা বিকালেই থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে অবহিত করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সোমবার দুপুরে শিশুটির মা থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহার মিয়া জানান, মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।