চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক কিশোরীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে আড়াই বছরের বেশি সময় ধর্ষণ করেছে এক যুবক। এ ঘটনায় কিশোরীর স্বজনরা অভিযুক্ত যুবককে সনাক্ত করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার ভিত্তিতে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউপি’র শোরসাক গ্রামের ইসমাইল মিজি বাড়ির মৃত আ. রশিদের পুত্র হুমায়ুন কবিরকে (১৯) আটক করে চাঁদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে।

 

ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী পরিবার ও মামলার সূত্র জানায়, ২০১৭ সাল হতে ওই বাড়ির এক শিশু শিক্ষার্থী স্থানীয় অক্সফোর্ড মডেল স্কুলে পড়ুয়া অবস্থায় একই বাড়ির হুমায়ুন কবিরের বড় বোনের নিকট প্রাইভেট পড়তো। ওই সুবাদে কিশোরীর ঘরে হুমায়ুন কবিরের অবাধ যাতায়াত ছিল। সে সুযোগে নানা সময় কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে ২০১৮ সালে ওই শিক্ষার্থী (১৫) নারী গৃহ শিক্ষকের বিয়ে হয়ে যায়। এরপরে হুমায়ুন ওই কিশোরীকে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করে। সে সুবাদে হুমায়ুন বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের হলিখেলা শুরু করে।
এক সময় ওই অবাধ মেলামেশার দরুণ কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে হুমায়ুন বিষয়টি আচঁ করে তাকে বিয়ের আশ্বাসে আগত সন্তান(ভ্রুন) ঔষধ খাইয়ে নষ্ট করতে প্ররোচনা সহ বাধ্য করে।

পরবর্তীতে বিষয়টি ঘরোয়া ভাবে চাউর হতে কিশোরী তার স্বজনদের জানায়। প্রথমে তারা স্থানীয়দের অবগত করে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। তবে তারা সময় ক্ষেপণ করায় কিশোরির দাদি বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-০৩) এর ৯ (১) ধারায় ধর্ষক হুমায়ুনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার প্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আঊয়াল ফোর্স শোরসাক এলাকা হতে ধর্ষক হুমায়ুনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওইদিনই তাকে কোর্ট তুললে বিচারক জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ধর্ষকে আটক করা হয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে, বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মানব জমিন

মন্তব্য করুন