ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথিত কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট ও কমেন্ট ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর বহিষ্কার দাবি করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উগ্রপন্থী শিক্ষার্থীরা।

 

অভিযুক্ত তিথী সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক। সে একাধারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিশ্ব হিন্দু সংগ্রাম পরিষদেরও আহ্বায়ক।

অভিযোগ রয়েছে, তিথী সরকার দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে মন্তব্য করে আসছিলেন।

তিথীর করা এসব পোস্ট ও কমেন্টের স্ক্রিনশর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে পরিকল্পিতভাবে ছড়ায় ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী। এরপর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে চক্রটি।

তিথী সরকারের স্ক্রিনশটগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

তবে তিথী সরকারের দাবি, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এসব করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে থানায় জিডিও করেছেন তিথী।

সাবির্ক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বেশ কয়েকটা স্ক্রিনশর্ট আমি পেয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করছি। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা নেবো।

ইত্তেফাক । বিডি জার্নাল

 

মন্তব্য করুন