জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার ও আশুলিয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী শিশু কিশোরগঞ্জে তার দাদার বাড়িতে থাকে। শিশুটি সেখানকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তার মা-বাবা চাকরিসূত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ভাড়া থাকেন।

গত শনিবার কিশোরগঞ্জ থেকে তার দাদির সঙ্গে মা-বাবার কাছে আমবাগানে বেড়াতে আসে।২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে আগে ওই ভাড়া বাসার পাশের সড়কে খেলাধুলা করছিল সে। এসময় এক যুবক তাকে পাশের একটি বাসায় নিয়ে যায়। এসময় এক বখাটে তাকে কৌশলে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলায় নিয়ে গিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে শিশুটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বাড়িতে ফেরার পর তার দাদি ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে রাতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

পরে রাত সোয়া ১০ টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশে রওনা দেয় ভুক্তভোগীর পরিবার।পরে সেখান থেকে শুক্রবার সকালে তাকে রেফার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, ”আমার মেয়ে বাসার সামনে খেলছিল। সেখানে একটা লোক এসে আন্টির সাথে দেখা করানোর কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে পাশের একটা বাসায় যায়। এরপর সে দাদিকে বলে, “আমাকে মেরে ফেলল।” পরে সে তার দাদিকে ওই লোকটাকে দেখায়। কিন্তু তার দাদি ওই বখাটেকে ডাক দিতেই সে মুখ ঢেকে দৌড় দিয়ে চলে যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার আসমা সিদ্দিকা বলেন, ”প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।”

আশুলিয়া থানার এস আই রকিবুল হাসান বলেন, ”আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সামগ্রিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি।আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।”

এঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার মো. সাজ্জাদুর রহমান।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন