টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে মসজিদের ইমাম কতৃক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের কারণে বর্তমানে ছাত্রীটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি তার অভিভাবকের।

 

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দিগড় ইউনিয়নে। এ ব্যপারে ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের গারট্ট উত্তরপাড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম কেরামত আলী (৬০)। তার গ্রামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার আইনাতকারী গ্রামে। ইমামতির পাশাপশি মসজিদে মক্তব স্থাপন করে প্রতিদিন সকালে গ্রামের ছেলে মেয়েদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। ওই মক্তবে কোরআন শিক্ষার জন্য যেত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ১৫ দিন আগে হঠাৎ করে ইমাম কেরামত আলী মসজিদের ইমামতি ছেড়ে দিয়ে সকলের কাছে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে যান।

সম্প্রতি ছাত্রীটির বাবা-মাসহ বাড়ির লোকজন মেয়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ে সব ঘটনা তার বাবা-মাকে কাছে খুলে বলে।

ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার অভিভাবকরা জানায়, ইমাম কেরামত আলী ভয়ভীত দেখিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত পাঁচ মাস আগে ঘটনার দিন বাড়ির সামনের মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার ইমাম তাকে ডেকে মসজিদের বারান্দায় তার থাকার কক্ষে নিয়ে যায়। পরে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করেন ইমাম। পরে নানা লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিন ধর্ষণ করে বলে জানায় সে।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর গত ৪ জুন ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে ইমাম কেরামত আলীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই দিন রাতেই কেরামতকে তার শ্বশুরবাড়ি ভূয়াপুর উপজেলার গোবিনদাসী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি ওয়াহেদ আলী বলেন, সে যে কাজ করেছে তা ক্ষমার যোগ্য নয়। আমরা তার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি দাবি জানাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মেরাজুল ইসলাম রুবেল অভিযুক্ত ইমাম কেরামত আলীকে গত ৫ জুন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালদের কাছে দায় স্বীকার করেছেন। টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষাও করা হয়েছে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন