ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করে ধর্ষককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে সেই টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাতব্বররা ধর্ষিতাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর বেলীশ্বর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভনে দেড় বছর আটকে রেখে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আউলাদ হোসেনের বখাটে ছেলে কাওছার আলী। কয়েকদিন আগে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করে সে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী নারী কাওছারের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। এ সময় ধর্ষকসহ বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে তিনি থানায় মামলা করতে চাইলে শোলধন ও বেলীশ্বর গ্রামের কতিপয় মাতব্বর তাকে বাধা দেন। তারা ওই ধর্ষকের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন।

পরে বেলীশ্বর খালপাড়ে সালিশ বৈঠক হয়। এতে ধর্ষিতার অভিভাবক হিসেবে আফাউদ্দিন ও সামসুদ্দিন মিয়া এবং ধর্ষকের অভিভাবক হিসেবে আলহাফ হোসেন আলতু মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গ্রামের মাতব্বর মেছের আলী, দেলোয়ার হোসেন দেলু, আবদুস সামাদ মিয়া ও মহিদুর রহমান ধর্ষককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং তা সঙ্গে সঙ্গে আদায়ও করেন। কিন্তু সেই টাকা ধর্ষিতাকে না দিয়ে মাতব্বররাই হাতিয়ে নেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, টাকা চাইলে মাতব্বররা বলেন, রাতে টাকা নিলে ডাকাতি হতে পারে। সকালে নিও। পরে সকালে টাকা আনতে গেলে তারা টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেন। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সালিশকারী মাতব্বর দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, আমি তো ওই বিচারপ্রার্থীকে টাকা দিয়ে দিতে বলেছি। আলতাফ হোসেন সামাদ বলেন, জরিমানার টাকা ওই নারীকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন