ঢাকার ধামরাইয়ে মোটরসাইকেলযোগে বেড়াতে গিয়ে লেবুবাগানের ভেতরে নিয়ে প্রেমিক ধর্ষণ করেছে প্রেমিকাকে। প্রেমিকার চিৎকারে স্থানীয় বখাটেরা ওই প্রেমিক যুগলকে আটকে হাতিয়ে নিয়েছে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার।

 

সেইসঙ্গে ওই প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে নাজেহাল করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই বখাটে যুবকদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় ওই প্রেমিকের মাকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে আরও ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে রাত সোয়া ৭টার দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ধর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের দেউলি এলাকায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,পাড়াগ্রাম বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মো. মোজাহার রহমানের ছেলে মো. মহোইমেন (২৪) ধানতারা এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বেশ কিছুদিন ধরে। এরই সূত্র ধরে প্রেমিকাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সোমবার দুপুর ৩টার দিকে দেউলি সেতুতে বেড়াতে যায়। পরে লেবুবাগানে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

প্রেমিকার চিৎকারে ওয়ার্শী ও দেউলি এলাকার স্বপন ও শামীমসহ কয়েকজন বখাটে এসে তাদের দুজনকে আটক করে। এরপর তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও সোনার গহনা হাতিয়ে নেয়। পরে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে তাদেরকে রাত সোয়া ৭টার দিকে মুক্তি দেয়া হয়।

আটককারী শামীম ও স্বপন জানায়,পবিত্র মাহে রমজানের মাসে দিনে দুপুরে এমন নষ্টামি বরদাশত করতে পারিনি তাই তাদেরকে আটক করে কাফফারা আদায় করেছি। যাতে ভবিষ্যতে এমন কর্ম আর না করে।

মোহাইমেনের মা জানায়, হাজার হলেও পেটের সন্তান। সে যতই অপরাধ করুক না কেন যখন তার বিপদের কথা শুনেছি তখন টাকা পাঠিয়ে তাকে মুক্ত করেছি। মা হিসেবে এটা আমার দায়িত্বের মাঝে পড়ে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন