দিনাজপুরের পার্বতীপুর পল্লীতে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাস্থলেই গ্রামবাসী ধর্ষক আব্দুর রহমান বাবলুকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে চন্ডিপুর ইউনিয়নে।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানায় রোববার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, একই গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান বাবলু (৪৬) দীর্ঘ দিন যাবত পিতৃহীন সুন্দরী কন্যাটির ওপর লোলুপ দৃষ্টি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ধর্ষকের নিজ বাড়িতে স্ত্রী-স্বজনরা না থাকায় নিজে ভাত রান্নার পর প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে বলে আপনার মেয়েকে একটু আমার বাড়িতে যেতে দিন- একটু আলু ভর্তা করে দিয়ে আসবে। সরল বিশ্বাসে মেয়েটিকে পাঠানো হলে কিছুক্ষণের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষণের সময় আর্তচিৎকারে ধর্ষিতার মাসহ অন্যরা দৌড়ে গেলে সেখানেই মেয়েটি ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করে। এ সময় উপস্থিত জনতা বাবলুকে ধরে গণপিটুনি শুরু করলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন জানান, ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।