পার্বতীপুরে মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী তিন মেয়ে শিশু পঞ্চাশোর্ধ মাদ্রাসা শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের শিয়ালকোট আলিম মাদ্রাসায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে (৫৫) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে যেন আর বাড়াবাড়ি না হয় সে জন্য একটি মহল ভুক্তভোগী তিন শিশুর অভিভাবকদের চাপের মুখে সমঝোতায় বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নে অবস্থিত শিয়ালকোট আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ি বিভাগের শিক্ষক ক্বারী আব্দুল মান্নান গত ৩০ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির তিন ছাত্রীর (৭-৮) পরনের কাপড় (প্যান্ট) খুলে নিয়ে যৌন হয়রানি করে। শিশুরা মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী আরজি দেবীপুর প্রামাণিকপাড়া গ্রামে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়। পরে তিন শিশুর বাবা বিষয়টি গ্রামবাসী এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামানসহ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জানান।
এ বিষয়ে শিয়ালকোট আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামান গতকাল রবিবার দুপুরে মোবাইলফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে গত ২ মে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ৪ জন সদস্য, ১৬ জন শিক্ষক, গ্রামবাসী ও অভিযোগকারী অভিভাবকদের নিয়ে মাদ্রাসায় একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারী আব্দুল মান্নান ভুক্তভোগী শিশুদের অভিভাবকদের হাত ধরে মাফ চেয়ে নেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারী আব্দুল মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারী আব্দুল মান্নান ১৮-২০ বছর আগেও একবার মাদ্রাসায় ছাত্রীদের যৌন হররানি করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।
অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারী আব্দুল মান্নান যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা স্বীকার করলেও শিশুদের যৌন হয়রানি করার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করে।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামান অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানালেও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহানুল হক গতকাল বিকেলে বলেন, বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।