দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ উত্তর মহেশপুর গ্রামে ১২টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কৃষক পরিবারের বাড়ি ও খড়ের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ২ মার্চ শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অভিযোগ, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁদের গ্রামে আগুন লাগিয়েছে।
৩ মার্চ রোববার বেলা ১১টার সময় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়িঘরের আগুন নিভলেও তখনো খড়ের গাদা জ্বলছিল। ঘরের চালার খড়, বাঁশ, টিন, কাঠ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মানিক বসাক, সুদেব বসাক, নিশীথ বসাক, রচিত বসাক, সুরেশ বসাক, সুবল বসাক, সুদীব বসাক, মৃণাল বসাকের পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মানিক বসাক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রাত ১২টার পরে গ্রামের সব কৃষক ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আগুন লাগানো হয়। এলাকাবাসীর চিত্কারে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান।
ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আরেক কৃষক নিশীথ বসাক জানান, চাঁদের আলো আর আগুনের শিখায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীকে দেখা যায়। তারা যেসব হুমকি ও অশ্লীল গালি দিচ্ছিল, তা থেকে বোঝা যায় যে তাঁরা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী জানান, রাত একটার দিকে দিনাজপুর থেকে দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। কিন্তু তার আগেই বেশির ভাগ খড়ের গাদা ও বাড়ির চাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।