রাজধানীর শাহবাগে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্র ইউনিয়নের তিন নেত্রীকে ফোনে ও ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় তিনজনকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হুমকির ঘটনায় ডমিনিক ক্যাডেট রমনা থানায় ১১ অক্টোবর রবিবার সাধারণ ডায়েরি করেছে। সোমবার অন্য হুমকির ঘটনায়ও থানায় ডায়েরি করা হবে।
তিনি জানান, হুমকি পাওয়া অন্য দুজন হলেন- ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী আসমানী আশা ও ছাত্র ইউনিয়নের লালবাগ শাখার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মাহমুদা দীপা।
ডমিনিক ক্যাডেট রমনা থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে জানান, গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে ধর্ষণ বিরোধী কর্মসূচী শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তার মেয়ে মৈত্রী ক্যাডেট বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় দু’টি মোটরসাইকেলে চারজন হেলমেটধারী লোক তাদের অনুসরণ করে। সবজীবাগান এলাকায় আসা মাত্র তারা আমাদের পথ রোধ করে আর যেন আন্দোলনে যাই, গেলে ভয়াবহ ক্ষতি হবে এবং মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় হেলমেটধারীরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তবে, রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো জিডির বিষয়ে আমার জানা নেই।
অন্যদিকে, ছাত্র ইউনিয়নের লালবাগ শাখার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মাহমুদা দীপা নিজে ফেইসবুক প্রোফাইলে একটি হুমকির স্ক্রিনশট তুলে ধরেছেন।
সেখানে দেখা যায়, অপূর্ব হোসাইন নামে একজন তাকে ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে লিখেছেন, ‘…তোরে যদি আর শাহবাগে দেখি মাইক হাতে স্লোগান দিতে তাহলে তুই আর বাসায় ফিরে যাইতে পারবি না। শাহবাগেই তোরে রেপ কইরা পুইতা ফালামু।’
ম্যাসেঞ্জারের এই বার্তার বেশিরভাগ লেখাই অপ্রকাশযোগ্য। মাহমুদা বার্তাটির স্ক্রিনশট দিয়ে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি জানি না কে এই ভদ্রলোক তবে এইভাবে ভয় দেখিয়ে আসলে কতদিন? সে আমাকে মেসেজ দিয়ে ব্লক করে দিয়েছে৷ ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
মাহমুদা দীপা জানান, রবিবার সকালে তার ম্যাসেঞ্জারে হুমকির বার্তাটি এসেছে। অসুস্থতার কারণে তিনি এই বিষয়ে এখনও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তবে দলীয় নেতাদের বিষয়টি জানিয়ে রেখেছেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।