ঢাকার ধামরাইয়ে দিনদুপুরে ঘরে ঢুকে এক বিধবাকে ধর্ষণ করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিল মাতবররা। গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে বিচার করে দেয়ার আশ্বাসে ছাড়িয়ে ধর্ষককে পালাতে সহায়তার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মাতবরদের বিরুদ্ধে।

শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে থানায় মামলা করলে ওই বিধবাকে তার শিশুপুত্রসহ গ্রামছাড়া করারও হুমকি দিচ্ছে তারা। এদিকে বিধবা বিচার না পেলে আত্মহত্যা করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

জানা গেছে, ৩ জুলাই শনিবার সকাল ৮টার দিকে ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নে বিধবাকে একই গ্রামের দুদু মিয়ার বখাটে ছেলে ওমর আলী ঘরে ঢুকে তার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই বিধবার চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে এসে ওই ধর্ষক ওমর আলীকে আটক করে ঘরের বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

এ সময় উৎসুক জনতা মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ধর্ষকের ছবি তুলতে গেলে মাতবরদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও বাতবিতণ্ডা হয়।

ওই বিধবা নারী বলেন, আমি দরজা খোলা রেখে সকালবেলা আমার নিজের ঘরে কাজ করছিলাম। এ সময় কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই ওমর আলী আমার ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে আমার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অতিকষ্টে আমার মুখের ওপর থেকে ওই ধর্ষকের হাত সরিয়ে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার ও ধর্ষককে আটক করে।

তিনি বলেন, এরপর মাতবর আউলাদ হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষক ওমর আলীকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে গ্রাম থেকে ভাগিয়ে দিয়েছে। এছাড়া মামলা করলে আমাকে গ্রামছাড়া করার হুমকি দিয়েছে। আমি ওই ধর্ষক ও মাতবরদের বিচার চাই। বিচার না পেলে আমি আত্মহত্যা করে এর প্রতিশোধ নেব। মরার আগে চিরকুট লিখে রেখে যাব, আমার মৃত্যুর জন্য ধর্ষক ওমর আলী ও মাতবরই দায়ী।

মাতবর আউলাদ হোসেন বিচার করে দেয়ার আশ্বাসে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও তাকে গ্রাম থেকে ভাগিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেন।

ধামরাই থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন