নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এক কিশোরীকে (১৪) অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর পরিবারই এই অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনায় সুজন হাঁসদা (২২) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধামইরহাট থানার পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাড়ি ধামইরহাট উপজেলায়। মেয়েটি উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ১৪ এপ্রিল রোববার বিদ্যালয়ের আয়োজনে বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সে বাড়ি থেকে বের হয়। বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান শেষে বান্ধবীদের সঙ্গে আত্রাই নদের ধারে উপজেলার শিমুলতলীতে সামাজিক বনায়ন এলাকায় বেড়াতে যায়। বনায়ন এলাকায় একপর্যায়ে একা পেয়ে সুজন হাঁসদা নামের এক তরুণ তার পথ রোধ করে দাঁড়ান। এরপর তিনি নানা ভয়ভীতির মুখে তাকে অটোরিকশায় করে সাপাহার উপজেলার গোপালপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে ধামইরহাট থানা-পুলিশ রোববার রাত আড়াইটার দিকে সুজন হাঁসদার বাড়ি থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ সুজন হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করে।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, তাঁদের গ্রামে সুজনের বোনের বিয়ে হয়েছে। এই সুবাদে সুজন প্রায়ই তাঁর বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। মাঝেমধ্যেই সুজন তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি জানার পর তাঁর বোন-দুলাভাইয়ের কাছে অভিযোগ করা হয়। পরে সুজনকে তাঁর বোনের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয়। এই ক্ষোভে সুজন তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছেন। মেয়েকে উদ্ধারের পর আজ সোমবার সুজনকে একমাত্র আসামি করে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন তিনি।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা। আজ নওগাঁ সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। গ্রেপ্তার সুজনকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন