নেত্রকোনার মদনে প্রতিবেশীর ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক কিশোরী (১৩)। ঘটনাটি ঘটেছে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে। ধর্ষক আজিজুল (৪৫) ফতেপুর দেওয়ানপাড়ার আছেন আলীর ছেলে।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে কিশোরীর বাড়িতে গেলে সালিশের মাতবররা কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার দরকার নেই বলে জানান।

তবে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আজিজুলের স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে। আমার কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এতে আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য মহল্লার লোকজন সালিশ করেছে। আমার মেয়েটাকে কেন এমন করল আমি এর ন্যায়বিচার চাই।

ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান মসরুম ইয়ার চৌধুরীর ছেলে মেহের চৌধুরী ও প্রতিবেশী সুজনের স্ত্রী পলি আক্তারসহ অনেকেই বলেন, বুধবার ওই কিশোরীর শারীরিক গঠন দেখে বুঝতে পারি সে অন্তঃসত্ত্বা। পরে জানতে চাইলে সে বলে পাশের ঘরের আজিজুল তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করছি।

সালিশের মাতবর মসরুম ইয়ার চৌধুরী ও সেলিম বলেন, আমরা এ বিষয়টা নিয়ে কাল থেকে আলোচনা করছি। একপর্যায়ে আজিজুল বিয়ে করার জন্য রাজি হয়েছে। বিয়ে দিলেই বিষয়টা মীমাংসা হয়ে যাবে।

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দেওয়ানপাড়া গ্রামে ধর্ষণে এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনো আমাকে কেউ জানায়নি।

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে- এমন বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন