১১ই ডিসেম্বর ২০১৮, নোয়াখালীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে গুলিতে নিহত হয় এক যুবলীগ নেতা।  মো. হানিফ (২৫) নামে ঐ যুবলীগ নেতার বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী দাবি করেছেন, যুবদলের কর্মীরা হানিফকে হত্যা করেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে হানিফসহ স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দক্ষিণ শুল্লুকিয়া গ্রামের কাজী পাড়ায় নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করছিলেন। এসময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম রিজভীর বাড়িতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে উঠান বৈঠক চলছিল। উঠান বৈঠক থেকে যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে যুবলীগ নেতা হানিফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।


সহিংসতাসহ জাতীয় নির্বাচন ২০১৮’র গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার টাইমলাইন


 

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত হানিফের দুই পা গুলিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থান আঘাতে থেঁতলানো ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

মর্গের সামনে হানিফের বাবা মফিজ উল্যাহ বারবার আহাজারি করে বলেন, ‘আমার এত সুন্দর ছেলেটারে তাঁরা এভাবে নির্মমভাবে কেন মারল? তাঁর কী অপরাধ?’

প্রথম আলোমানব জমিন

 

মন্তব্য করুন