নড়াইলের কালিয়ায় স্বামীর ইন্ধন ও সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০ জুন রোববার রাতে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে সোমবার রাতে স্বামী আতাউর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলব্যউচ গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে আতাউর রহমানের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। ইতোমধ্যে তাদের ঘরে জন্ম নিয়েছে ৩টি সন্তান। কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে স্বামী তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
এরই মধ্যে ওই গ্রামের জাফর শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ ওই গৃহবধূকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। রোববার রাত ২টার দিকে রিয়াজসহ স্থানীয় ৪ যুবক ওই বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ডেকে তোলে এবং দরজা খুলতে বলে। কিন্তু গৃহবধূ দরজা খুলতে রাজি না হলে তখন ধর্ষকরা তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে জানায়।
তার স্বামী তাকে মোবাইল ফোনে দরজা খোলার নির্দেশ দিলে গৃহবধূ বসত ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপর ধর্ষকরা ঘরে ঢুকে তার সন্তান ও প্রতিবেশী পারভেজ মোল্যাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে তারা দরজা আটকে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে স্বামী আতাউরের মোবাইল ফোনে পাঠাতে থাকে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে সোমবার রাতে স্বামী আতাউর রহমানসহ একই গ্রামের জাফর শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ (২৪),ফিরোজ হোসেনের ছেলে মিল্লাত হোসেন (২৮), মৃত খোকা মোল্যার ছেলে দীন মহম্মদ কালু (২২) ও ইমরুল মোল্যার ছেলে তালহা জোবায়ের আশিককে (২১) আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ঘটনার পর আতাউর রহমান ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। তখন স্ত্রীর অভিযোগে ওই মামলার আসামি হওয়ার কারণে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
কালিয়া থানার ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।