অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

১৪ জুন সোমবার দুপুরে উত্তরার ১ নম্বরের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, পরীমনির করা মামলার দুই আসামি ও তিন নারীসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখান থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে মাদক মামলা করা হবে। পরীমনির করা মামলার দুই আসামি যেহেতু রয়েছেন গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে, তাদের সাভার থানায় হস্তান্তর করা হবে। কারণ, মামলাটি সাভার থানায় হয়েছে।

এর আগে, পরীমনিকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলার বিষয়টি আজ সকালে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মোট ছয় জনের নামে মামলা হয়েছে।

পরীমনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, তিনি লিখিত একটি অভিযোগ রূপনগর ও সাভার থানায় দিয়েছিলেন।

মামলায় ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে রূপনগর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পরীমনি রূপনগর থানা ও সাভার থানায় গতকাল রাতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি যেহেতু সাভার থানার অন্তর্গত তাই আমরা রূপনগরের অভিযোগটিও সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি।

নাসির গ্রেপ্তার হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ভিকটিম হয়েছি। যা বলা হচ্ছে সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

নাসির বলেন, ‘আমি সেদিন ক্লাবে ছিলাম। যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলাম তখন তারা প্রবেশ করছিলেন। তারা মদ্যপ অবস্থায় ক্লাবে ঢোকেন। কাউন্টার থেকে তারা জোর করে দামি মদ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।’

নাসির দাবি করেন, মদ নিতে বাধা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

গতকাল রাতে পরীমনি বনানীতে নিজ বাসায় শারীরিক নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেন। রাত ১১টায় তিনি দুজনের নাম উল্লেখসহ ঘটনার কিছু বিবরণ দেন।

পরীমনি বলেন, ‘আমাকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টাকারীদের একজন রাজধানীর উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসির ইউ মাহমুদ এবং অন্যজন অমি নামের এক ব্যবসায়ী।’ তবে, তাদের বিস্তারিত পরিচয় দেননি তিনি।

পরীমনি বলেন, ‘গত বুধবার রাত ১২টার দিকে আমাকে বিরুলিয়ার একটি ক্লাবে নিয়ে যায় অমি। সেসময় নাসির ইউ মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন।’

‘সেখানে নাসির ইউ মাহমুদ আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত’, বলেন তিনি।

দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন