পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অফিসে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভিকটিমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলায়। ৩১ অক্টোবর রোববার তার বাবা তিনজনকে অভিযুক্ত করে ভাঙ্গুড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পৌর সদরের মেন্দা মাস্টারপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে ও ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের খোরজানের ছেলে দুলু (২৭) ও নির্যাতিতার কথিত চাচাতো ভাই রানা (২১)। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা ও জবানবন্দির জন্য পাবনার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর বিকালে ওই কিশোরী তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই রানার সঙ্গে ভাঙ্গুড়া শিশুকুঞ্জ পার্কে বেড়াতে যান। এ সময় রানা তার পূর্ব পরিচিত অভিযুক্ত আলিম ও দুলুর সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় করিয়ে দেয়।

এরপর অভিযুক্তরা ভিকটিমকে চা পানের আমন্ত্রণ দিয়ে উপজেলার শরৎনগর বাজারে অবস্থিত আলীমের অফিসে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি গোপন রাখতে বলে, অন্যথায় তাদের মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পরে ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জানালে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে। নির্যাতিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাবনার আদালতে পাঠানো হয়।

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল আলীম বলেন, অভিযুক্তরা সবাই সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এরা আমাদের বড়াল ব্রিজ স্টেশন এলাকায় চুরি করতো। পৌর মেয়রের নির্দেশনায় আমি তাদের এলাকা থেকে উচ্ছেদ করায় একটি মেয়েকে দিয়ে এ মিথ্যা মামলা করিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানিয়েছেন, ভিকটিমের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিকটিমকে জবানবন্দি ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাবনার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন