পাবনায় ভাড়া বাড়িতে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদর উপজেলার এ ঘটনায় ২৬ জুলাই শুক্রবার ওই নারীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা হায়দার আলীকে আটক করেছে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগ, তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় শিবরামপুর এলাকার চার যুবক ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটায়।

ওই নারী জানান, দুইমাস আগে তিনি ও তার গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই হায়দার আলীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হয়ে ওঠেন। ২৪ জুলাই বুধবার কাজের চাপ বেশি থাকায় তার ভাই রাতে ফেরেননি।

তিনি জানান, রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়লে রাত দুইটার দিকে বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় চার যুবক জোর করে ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

মেয়েটি আরও বলেন, বাসায় একা ছিলাম, বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিক তার কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে রাতভর আমাকে নির্যাতন চালায়। আমি চরম ভয়ে আছি, আমাকে তারা মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়।

তিনি জানান, রাত দুইটা থেকে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত ঘরে আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন করে চলে যায় ওই যুবকরা। বৃহস্পতিবার রাতে তার ভাই বাড়িতে ফিরে ঘটনা জানতে পারেন।

নির্যাতনের শিকার নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শুক্রবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা ভাই।

ওই নারীর ভাই বলেন, ‘আমি কারখানায় কাজ করতে করতে দেরি হয়ে যায়, পরে রাতে বাসায় ফিরে না আসায় তারা আমার বোনের ওপর নির্যাতন করেছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে জানান, নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়িওয়ালা হায়দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নির্যাতিতার নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নার্গিস সুলতানা বলেন, ভুক্তভোগী নারী শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। আমরা তার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলেও জানান তিনি।

সমকাল

 

মন্তব্য করুন