ফরিদপুরে বাড়ির সামনে থেকে এক কিশোরীকে (১৩) তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।
তিন অভিযুক্ত হলো- ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা অটোচালক আকাশ শেখ (১৮), একই গ্রামের রাজমিস্ত্রির সহযোগী রনি শেখ (১৮) ও নর্থ চ্যানেল পূর্বডাঙ্গী গ্রামের ট্রলি চালক শিপন শেখ (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে গেলে অভিযুক্তরা তাকে একটি অপহরণ করে ইজিবাইকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তরুণীকে একটি ফাঁকা মাঠে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে যায় অভিযুক্তরা।
খোঁজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। নির্যাতনের শিকার নারী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এ ধর্ষণ মামলার আসামি আকাশ শেখকে সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই রনি এবং শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, “কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার দিবাগত রাতে আকাশসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারের পর তিন আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”