ঢাকার বংশালে প্রথম শ্রেণি পড়ূয়া সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১২ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবারই আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আদালত তাকে টঙ্গীতে জাতীয় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

১৫ জানুয়ারি বুধবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার পুলিশকে জানান স্বজনরা। সেদিনই ভুক্তভোগী শিশুকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)।

বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। ধর্ষণে অভিযুক্ত শিশুটি পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে। এ ঘটনায় শিশুটির মা মামলা করেছেন। ওসিসিতে শিশুটির চিকিৎসা ও ধর্ষণ প্রমাণে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিশুটির মায়ের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে তিনি ও তার স্বামী দু’জনই কাজের জন্য বাসার বাইরে ছিলেন। তাদের মেয়ে বাসায় একা ছিল। এ সুযোগে তাদের ভাড়াবাসার মালিকের নাতি শিশুটিকে ধর্ষণ করে। রাতে বাসায় ফিরে তিনি ঘটনা জানতে পারেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে বাসার মালিকের কাছে গেলে তিনি হুমকি-ধমকি দিয়ে পুলিশের কাছে যাওয়া থেকে তাদের বিরত রাখেন। শিশুটিকে হাসপাতালেও নিতে দেননি। তবে বৃহস্পতিবার সে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নিতে বাধ্য হন। ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য তাদের শাসিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, শিশুটির মা গৃহশিক্ষকতা করেন। তার বাবার একসময়ে গুলশানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এখন তিনি বঙ্গবাজারে একটি দোকানে কাজ করেন।

সমকাল

মন্তব্য করুন