বরগুনার তালতলীতে ৭ বছরের মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গণধর্ষণের মামলা না নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা নিয়েছে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এলাকায়।

ভুক্তভোগী বলেন, ২৩ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে শ্বশুর বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে রওনা দিয়ে পাথরঘাটা পৌঁছান। সেখান থেকে ট্রলারযোগে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভসন্ধ্যার তেতুলবাড়িয়া লঞ্চঘাটে সকাল ১০টার দিকে নামেন তিনি। তারপর এক মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট যাওয়ার চুক্তি করলে তাকে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট না নিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যায়।

সেখানে নিয়ে মোটরসাইকেলচালক মোবাইলে ডেকে আরও চারজনকে আনেন। তারপরে ওরা সবাই মিলে আমার মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে খুনের ভয় দেখিয়ে আমাকে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে তারা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। আমার জ্ঞান ফেরার পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অন্য মোটরসাইকেলযোগে নিশানবাড়িয়া এসে খেয়া পার হয়ে বাড়িতে পৌঁছাই। তিনি আরও বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে এ ব্যাপারে আমি কোথাও অভিযোগ করিনি। কিন্তু বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হওয়ায় আমি থানায় এসে বিচার চাইতে বাধ্য হই।

এ ব্যাপারে তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগ দিতে ভুক্তভোগী নিজেই থানায় এসেছেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ভুক্তভোগী নারী আমাদের কাছে ধর্ষণ চেষ্টার কথা বলেছেন, আমরা সেই মামলাই নিয়েছি।

যুগান্তর

 

মন্তব্য করুন