বরগুনার তালতলীতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক মামলা আসামির বক্তব্য নিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। আহত সাহিন শাইরাজ তালতলী প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক। গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

বরগুনায় তালতলীতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করার পর আসামির হুমকিতে এলাকা ছাড়তে হয়েছে এক কিশোরীকে। তালতলী প্রেসক্লাবে আজ সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীর পরিবার। সংবাদ সম্মেলন শেষে অভিযোগের বিষয়ে আসামি আবুল হাসানের বক্তব্য চাইলে সাহিন শাইরাজের ওপর সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে হামলা চালান তিনি।

হামলার ঘটনায় তালতলী সাংবাদিক ফোরাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গত ১১ মার্চ আবুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে যান। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি আবার ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। নিরাপত্তাহীনতার কথা বিবেচনা করা ওই কিশোরীকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে মুক্তিযোদ্ধা রোডে অভিযুক্ত আবুল হাসানের সঙ্গে সাংবাদিক সাহিন শাইরাজের দেখা হয়। সেখানে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে আবুল হাসান ৭-৮ জন দুর্বৃত্তকে নিয়ে সাহিন শাইরাজের ওপর হামলা চালান। পরে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

আহত সাংবাদিক সাহিন সাইরাজ বলেন, আবুল হাসানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এক পরিবার। সেই বিষয়ে তার বক্তব্য নিতে গেলে আবুল হাসান ও শাহদাতসহ ৭-৮ জন মিলে আমাকে মারধর করেন।

প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে কোনো পক্ষ থেকেই অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন