বরিশালের বাকেরগঞ্জে একই রাতে দুবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় দুইজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের ওই গৃহবধূ তার দুই সন্তানকে নিয়ে পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যান। সেই সুযোগে ফাঁকা ঘরে ঢুকে আত্মগোপনে থাকেন একই এলাকার মোহাম্মাদ আলী মীরের ছেলে আলাউদ্দিন।
ওই গৃহবধূ টিভি দেখে নিজ ঘরে ফিরে এসে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই আলাউদ্দিন মীর তার মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে তার হাতের কাছে থাকা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সে আলাউদ্দিন মীরকে চিনে ফেলে ডাক-চিৎকার শুরু করলে ধর্ষক আলাউদ্দিন মীর বটি দিয়ে তার সন্তান হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ভিতরের রুম থেকে সামনের রুমের খাটে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পালিয়ে যাওয়ার মূহুর্তে ওই গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে বিষয়টি পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে ধর্ষক আলাউদ্দিকে আটক করেন। এ সময় ধর্ষকের সহযোগী গারুড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবুল খান গিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
ওই গৃহবধূ জানান, ওই রাতেই বিষয়টি কাউকে জানাবে না বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জোর জবরদস্তি করে তাকে আবারও ধর্ষণ করেন ইউপি সদস্য বাবুল খান।
এ ঘটনায় মোহাম্মাদ আলী মীরকে ১নং ও ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় ইউপি সদস্য বাবুল খানকে ২নং আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করেন বাকেরগঞ্জ থানা।
গৃহবধূর মামা জানান, ইউপি সদস্য ক্ষমতাশীন দলের হওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে মামলা দিতে হয়েছে। তাকে মামলায় জড়ালে ওদের (ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ) এলাকায় থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন জানান, একাটা লোকের সঙ্গে ওনার (ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ) একটা রিলেশন ছিলো। রিলেশনের জের ধরে কিছু একটা ঘটছে। ঘটনাটা নিয়ে তিনি থানায় আসেন নায় দুই দিন। তৃতীয় দিন তিনি থানায় আসছেন। এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন।