বাগেরহাটের শরণখোলায় পঞ্চম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (স্বতন্ত্র) ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারের (৪৮) বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।
ধর্ষণ ঘটনার ১১ দিন পর ওই শিশুছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত গফফার জোমাদ্দারের ছেলে। শরণখোলা থানার ওসি দিলিপ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাতটায় কোরআন শিক্ষার জন্য পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই মাদ্রাসাছাত্রী (১০) ইলিয়াছের কাছে যায়। পড়া শেষ হলে সকাল পৌনে আটটায় মাদ্রাসা সুপার ওই ছাত্রীকে লাইব্রেরি কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘এ ঘটনা কাউকে জানালে তোকে খুন করে ফেলবো।’ পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। মেয়েটির মা তাকে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এতে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে নিয়ে মোরেলগঞ্জের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করান।
১১ দিন পর মামলা দায়েরের বিষয়ে মেয়েটির আত্মীয়রা জানান, তারা সম্মানের ভয়ে এতদিন নীরব ছিলেন। কিন্তু মামলা না করলে অপরাধী রেহাই পেয়ে যাবেন এবং তিনি আবারও একই অপরাধ করবেন। তাই দেরিতে হলেও তারা আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
ওসি দিলিপ কুমার সরকার মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার পর মাদ্রাসা সুপার বিভিন্নভাবে ওই ছাত্রীর পরিবারকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটির বাবা সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে আসামি ইলিয়াছ জোমাদ্দার পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’