বাগেরহাটে ফারিয়া (৭) নামের এক সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার (৫ মে) রাতে অভিযুক্ত মিনহাজুল আবেদিন শোয়েবকে (১৯) আটক করেছে পুলিশ। নিহত ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ফারিয়া বাগেরহাট সদর উপজেলার পাতিলাখালি গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে। পার্শ্ববর্তী কোন্ডলা গ্রামের বড়ু বিবি ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আটক শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নূর ইসলাম ওরফে ইমন হাওলাদারের ছেলে। শোয়েব ছোট বেলা থেকে তার নানা লিয়াকত আলীর বাড়িতে থাকত।

স্থানীয়রা জানান, ফারিয়া শোয়েবের সম্পর্কে চাচাতো খালা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে আম খাওয়ানোর কথা বলে ফারিয়াকে প্রতিবেশি রাজ্জাকের বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে নিয়ে যায় শোয়েব। পরে সেখানে ধর্ষণের পরে হত্যা করে বাগানের পুকুরে পুঁতে রাখে। সন্ধ্যার পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঐ পুকুরের মধ্যে মেয়েটির মরদেহ পায় স্বজন ও প্রতিবেশিরা।

হাসান, বাপ্পি, এমদাদুল হক, মনিরুজ্জামানসহ স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ফারিয়া যখন বাড়ি আসেনি, তখন সবাই মিলে খোঁজ শুরু করি। খুঁজতে খুঁজতে বাগানের মধ্যে একটি ছোট গর্ত দেখতে পাই। পাশে একটি পুকুরের পাড়ের গাছপালা কাটা অবস্থায় দেখতে পাই। সেখানে পুকুরের পানির মধ্যে কাঁদার ভেতর ফারিয়ার মরদেহ পাই। মরদেহ উদ্ধার করে সন্দেহজনকভাবে আমরা শোয়েবকে আটক করি। পুলিশকে খবর দেই।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আফজাল বলেন, শোয়েব আম খাওয়ানোর কথা বলে ফারিয়ার পিতার বাগানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে হত্যা করে মরদেহ পুকুরের মধ্যে পুঁতে রাখে। আমরা ঘাতক মিনহাজুল আবেদিন শোয়েবকে আটক করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হতে পারে, তবে ময়না তদন্ত শেষে সঠিক তথ্য জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, মিনহাজুলকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফারিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে।

বাংলা নিউজ

মন্তব্য করুন