লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে এক আইনজীবীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে
কুমিল্লায় নারী নির্যাতন মামলার পক্ষে রায় পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিচারপ্রার্থী গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আইনজীবীর সহকারী আনিছুর রহমান ও অপর এক আইনজীবীর বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে।
জেলার লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে এক আইনজীবীর বাড়িতে গত ২৮ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের চার সন্তানের এক জননী তার স্বামী আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। এ মামলার রায় ওই নারীর পক্ষে পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লার আদালতের আইনজীবীর সহকারি লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ওই নারীকে গত ২৮ ডিসেম্বর ওই গ্রামেরই এক আইনজীবীর নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাস (৩৮) এবং আরেক আইনজীবীর সহকারী আনিছুর রহমান (৩৫) মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই নারী বিভিন্ন স্থানে প্রতিকার চেয়েও পাননি। প্রভাবশালী আসামিদের হুমকির মুখে আদালতে মামলা দায়ের করতেও ব্যর্থ হন তিনি। পরে বুধবার দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাদেমুল বাহার জানান, এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আইনজীবীর সহকারী আনিছুর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র: bdnews